আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, উত্তরাধিকার সূত্রে খুনের রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা করছে বিএনপি ও খালেদা জিয়া। ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন ও তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন জিয়াউর রহমান আর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারীদের খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হত্যার মাধ্যমে এই দলটিকে নিশ্চিহ্ন করাই ছিল ভয়াল ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মূল লক্ষ্য। কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা নিজের হাতে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে রক্ষা করেছেন।
শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গণতন্ত্রী পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আমির হোমেস আমু বলেন, ওই দলটির আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এ দেশের জনগণ জানে। আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করাই বিএনপির রাজনীতি। তাদের সেই আন্দোলনে এদেশের জনগণ পাশে নেই।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ‘জিয়া পরিবারকে খুনি পরিবার’ উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি হত্যা ও খুনের রাজনীতি বহনকারী দল। এই দেশে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে যা দিয়েছেন অন্য কোনো রাষ্ট্রপ্রধান- তা দিতে পারেন নাই।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ৭৫- এর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করেছিল বিএনপি-জামায়াত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিশ্চিহ্ন করাই ছিল ঘাতকের মূল লক্ষ্য।
গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ‘দেশবিরোধী অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক অলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টি (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহম্মেদ মুক্তা, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা.ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ইসমাইল হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন প্রমুখ বক্তব্য দেন।