• ২১ জ্যৈষ্ঠ১৪৩০  - রবিবার, জুন ৪, ২০২৩

স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট নাগরিক চাই: প্রধানমন্ত্রী

স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট নাগরিক চাই: প্রধানমন্ত্রী

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকের শিশুদের মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কারণ তারাই হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট জনগোষ্ঠী’।শিশুরা যেন মানবিক ও অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল অনুভব নিয়ে গড়ে উঠে সেজন্য নজর দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শিশুদের উদ্দেশে বলেন, খেলাধুলা, শরীরচর্চা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, শিক্ষকদের কথা মান্য করা, অভিভাবকদের কথা মান্য করা- প্রত্যেক শিশুদের এসব নিয়ম মেনে চলতে হবে। সবাইকেই মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন হতে হবে। যারা প্রতিবন্ধী বা অক্ষম তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ দিনের প্রতিপাদ্য ছিল- ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিশু প্রতিনিধি স্নেহা ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান ও জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের ভালোবাসতেন। শিশুদের জন্য তার অত্যন্ত দরদ ছিল। শিশুদের সঙ্গে খেলা করতে তিনি খুব পছন্দ করতেন। আমরা এজন্য তার জন্মদিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছি। শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যত। তারা যেন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে- সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

তিনি বলেন, টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান। এ মাটিতে তিনি বড় হয়েছেন। এই মাটিতে তিনি শায়িত আছেন। নিজের জীবনটাকে তিনি উৎসর্গ করেছেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য। তার ভেতরে যে মানবিকতা রয়েছে, মানুষের প্রতি যে দরদ- শিশুকাল থেকেই সেটি জানা গেছে। তিনি যখন স্কুলে পড়তেন তখন থেকেই দরিদ্র কোনো ছেলের বই নেই তাকে তিনি নিজের বই দিয়ে দিয়েছেন। নিজের গায়ের কাপড় খুলে দরিদ্র মানুষকে বিলিয়ে দিতেন। এমনকি দুর্ভিক্ষের সময় নিজের গোলার ধান পর্যন্ত মানুষকে দিয়ে দিতেন। তার ভেতরে সেই মানবিকতা ছোটবেলা থেকেই আমার দাদা-দাদি লক্ষ্য করেছেন। বড় হয়ে তিনি এ দেশের মানুষ যারা একেবারে শোষিত-বঞ্চিত ছিল, একবেলা খাবার পেত না, যাদের পরনে কাপড় ছিল না, রোগের চিকিৎসা পেত না, ঘরবাড়ি ছিল না- সেসব মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্যই কিন্তু তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন।


ভ্রমন
বিনোদন