ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে পেরে স্বস্তিতে বিএনপি নেতারা। এ সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর ঢল নামে। তবে ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী উপস্থিতি নিয়ে জেলার নেতারা নানা প্রশ্ন তুলেছেন। অতীতে আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পেছনে বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যেই মহানগরকে দোষারোপ করে আসছে তৃণমূল। এবারও তাদের দাবি, শনিবারের সমাবেশে ঢাকা মহানগরের ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের ক্ষেত্রে তেমনটা দেখা যায়নি, যা আবারও হতাশ করেছে তৃণমূলকে। হামলা-মামলার কারণে এটি কোনো ‘কৌশল’ নাকি ‘অভ্যন্তরীণ কোন্দল’ তা নিয়েও নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে আলোচনা।
অবশ্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু যুগান্তরকে বলেন, এ যাবতকালে এত বড় সমাবেশ আর হয়নি। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে বিএনপি একটি সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত দল। সমাবেশে ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা কম ছিল না। মাঠের মধ্যে আগের রাতেই ঢুকে পড়ে নেতাকর্মীরা। সকালে যারা মিছিল নিয়ে যান তারা মাঠের সামনের সড়কে ছিলেন। আমাদের নির্দেশনা ছিল যে যেখানে জায়গা পাবে সেখানে বসে পড়ার। অর্থাৎ মানুষ ডিঙ্গিয়ে সামনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ তাতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। মহানগর অতীতের চেয়ে অনেক সুসংগঠিত। প্রত্যেক এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সমাবেশে অংশ নিয়েছেন।