গত এক দশকে দেশের স্বাস্থ্য খাতে অগ্রগতি চোখ পড়ার মতো। ওয়ার্ডে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শুরু করে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলায় সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসা-শিক্ষাকেন্দ্র, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চিকিৎসকের চেম্বার গড়ে উঠেছে। কিন্তু এত সুবিধার পরও রোগীরা চিকিৎসার জন্য রাজধানীতেই ছুটছেন। জনস্বাস্থ্যবিদদের মতে, প্রান্তিক চিকিৎসাকেন্দ্রের সেবায় আস্থার সংকট রয়েছে। অনেক সময় রোগীদের অধিকারও নিশ্চিত হয় না। ফলে উন্নত ও বিশেষজ্ঞ সেবা পেতে তারা ঢাকামুখী হচ্ছেন। কেউ যাচ্ছেন দেশের বাইরে।
রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, জেলা-উপজেলার চিকিৎসা অবকাঠামোতে উন্নতির ছোঁয়া লাগলেও বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক ব্যাধি থেকে শুরু করে ক্যানসার, কিডনি ও হৃদরোগের মতো জটিল অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা অপ্রতুল। হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় বিভাগ বা ইউনিট, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, অ্যানেসথেওলোজিস্ট, অস্ত্রোপচার কক্ষ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র, স্বয়ংসম্পূর্ণ ল্যাবরেটরি, দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, প্যাথলজিস্ট-টেকনেশিয়ান, নার্স-মিডওয়াইফ ইত্যাদির ঘাটতি রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগে মাকে নিয়ে ভর্তি আছেন বরিশালের রেজা মাহমুদ। তিনি যুগান্তরকে বলেন, আমার মা দীর্ঘদিন কোমর বিডিটিতে ভুগছেন। শারীরিক জটিলতায় ২০০৭ ও ২০১২ সালে অস্ত্রোপচার করাই। বছরখানেক ধরে মা শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন। বরিশালে সরকারি-বেসরকারি একাধিক চিকিৎসক দেখিয়েছি। কেউই রোগ ধরতে পারেননি। বিএসএমএমইউর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমার মায়ের ফুসফুসের একপাশে ৯০ শতাংশ ড্যামেজ হয়ে গেছে। এতবড় জটিল রোগ, অথচ বরিশালের কোনো চিকিৎসক একটি এক্সরে পর্যন্ত করাননি। নিরুপায় হয়ে মাকে এখানে ভর্তি করিয়েছি।