দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক এমন নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দিতে গত মে মাসে নির্বাচন কমিশন (ইসি) জারীকৃত গণবিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনের জন্য নির্ধারিত সর্বশেষ তারিখের মধ্যে ৯৮টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে বলে ইসি সূত্র জানিয়েছে।
The Representation of the People Order, 1972 (RPO) বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৯০ক অনুচ্ছেদ অনুসরণে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধনের জন্য তিনটি শর্তের মধ্যে অন্তত একটি পূরণ করতে হবে। শর্তগুলো হলো-(অ) বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে অনুষ্ঠিত যে কোনো সংসদ নির্বাচনের যে কোনো একটিতে দলীয় নির্বাচনি প্রতীকে কমপক্ষে একটি আসন লাভ; (আ) কোনো সংসদ নির্বাচনে দল নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনি এলাকায় মোট প্রদত্ত ভোটের অন্তত ৫ শতাংশ লাভ; (ই) দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলায় ও অন্তত ১০০টি উপজেলায় বা মেট্রোপলিটন থানায় কার্যালয় প্রতিষ্ঠা, যার প্রতিটিতে সদস্য হিসাবে কমপক্ষে দুইশ ভোটারের তালিকাভুক্তি।
তাছাড়া নিবন্ধনে আগ্রহী রাজনৈতিক দলকে দলের প্যাডে নির্বাচন কমিশন বরাবর দরখাস্তের সঙ্গে দলের গঠনতন্ত্র, নির্বাচনি ইশতাহার (যদি থাকে), বিধিমালা, দলের লোগো ও পতাকার ছবি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তালিকা, দলের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য, দলের তহবিলের উৎসের তথ্য জমা দিতে হবে। গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকে নতুন দলের নিবন্ধন নিয়ে সুশীলসমাজ ও গণমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনায় যে বিষয়টি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে তা হলো, প্রভাবিত হয়ে ইসি এমন কোনো নামসর্বস্ব, প্যাডসর্বস্ব দলকে নিবন্ধন দেয় কি না-যেটি প্রভাব খাটানো দলের লেজুড়বৃত্তি করবে।